অক্ষয় তৃতীয়া ঘিরে স্বর্ণের বাজারে ফের দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। ঐতিহ্যবাহী এই শুভ দিনে স্বর্ণ কেনাকে শুভলক্ষণ মনে করে ভারতীয় উপমহাদেশের বহু পরিবার। আর সেই উপলক্ষে দুবাইয়ের স্বর্ণের বাজারে এখন চলছে ব্যস্ত সময়। খবর গালফ নিউজ
গত সপ্তাহের তুলনায় স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। বর্তমানে দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রামে ৩৬৯ দিরহাম যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ২০৩টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.০৭ টাকা), যেখানে মাত্র কয়েকদিন আগে তা ছিল ৩৮৮ দিরহাম। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে প্রি-বুকিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে।
স্বর্ণ কিনতে আসা এক ক্রেতার বলেন, ‘৩০ এপ্রিল আমি যেভাবেই হোক স্বর্ণ কিনতাম। তবে এখন ৩৬৯ দিরহামে বুকিং করতে পারাটা বিশাল লাভ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের দাম আরও কমতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম গত সপ্তাহে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়ে এখন নেমে এসেছে ৩ হাজার ৩১৮ ডলারে। অনেকের মতে, মূল্যপ্রতি আউন্সে ৩ হাজার ২৮০ পর্যন্ত নামতে পারে।
শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আশা জেগেছিল, দুবাই গোল্ড রেট কমে ৩৬৭ দিরহামেও পৌঁছাতে পারে। যদিও তা স্থায়ী হয়নি, তবে সামগ্রিকভাবে দাম কমার প্রবণতা ক্রেতাদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি করেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানায়, ক্রেতারা বার বা গয়না যাই কিনুন না কেন, তাদের ফোকাস এখন বিক্রি বাড়ানোর দিকে। ‘স্বর্ণ হোক বার কিংবা গয়না, আমরা চাই ক্রেতারা ফিরে আসুন’, বললেন এক শীর্ষ বিক্রেতা
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহের মতো রাতারাতি দামে বড় উল্লম্ফন না ঘটলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। ধীরে ধীরে দাম বাড়া বা কমা ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে সাহায্য করে।’
ভারতের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রামে ৮ হাজার ৭৬০ রুপি, যা আগের তুলনায় ৬৬ রুপি কম। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও এখন কেনাকাটায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ে ‘আরবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট’ শুরু হচ্ছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, এই উপলক্ষে শহরে আসা ভ্রমণকারীরাও স্বর্ণের বাজারে নতুন প্রাণ যোগ করবেন।