Wednesday, April 30, 2025

আকাশ বন্ধ করেছে পাকিস্তান, প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি ভারতের: রিপোর্ট

আরও পড়ুন

পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির জারি করা একটি নোটিশ অনুসারে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটির আকাশসীমা ভারতীয়-নিবন্ধিত বেসামরিক এবং সামরিক বিমানের জন্য খোলা থাকবে না। ভারতীয় সংস্থাগুলোর ভাড়া নেয়া বিমানগুলোও পাকিস্তানের আকাশসীমায় যেতে পারবে না।

এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানি আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমানগুলোকে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা পথ ঘুরে চলতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিদিন ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আদিত্য জেট, ইন্ডিগো এয়ার এবং আকাসা এয়ার। এর আগে কয়েক দিনের জন্য আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে ভারতীয় সংস্থাগুলো ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটি যাত্রীদের ভ্রমণ ব্যয়ও বাড়ি দেয়।

আরও পড়ুনঃ  নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার পর, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করে উচ্চ জ্বালানি খরচ এবং দীর্ঘ ভ্রমণের সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। সেখান থেকে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভারতীয় বিমান পরিবহন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে প্রায় এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। এর অর্থ হলো, জ্বালানি বেশি এবং পণ্যসম্ভার কম।

ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট নয়াদিল্লি থেকে বাকু যেতে ৫ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট সময় নেয়। এটিকে দক্ষিণ-পশ্চিমের গুজরাট রাজ্যে এবং তারপর আরব সাগরের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছিল, তারপর ইরানের ওপর দিয়ে উত্তরে আজারবাইজানে ফিরে যেতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমি এত কষ্ট করে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য’

কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল জমা দেন, যা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভি জানায়, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন সন্ধ্যা ৬টায় সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে তারা হাতে দুটি লাল ফাইল তুলে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে কেউ কেউ ধারণা করছেন, এই দুটি ফাইলে যুদ্ধের অনুমতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা ওই লাল ফাইল নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ডাকাত সন্দেহে গুলশানে ভবন ঘেরাও, চলছে অভিযান

সুশান্ত হালদার নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেন, এ সময়ের প্রেক্ষিতে ফাইল দুটি নিশ্চয়ই কোনো সাধারণ নথি নয়। একটি ফাইল হতে পারে যুদ্ধ শুরুর অনুমতির প্রস্তাব, অন্যটি চূড়ান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য।

কাশ্মীর হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিল। পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিশতী বলেন, পাকিস্তানকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুধাবন করতে হবে। ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। তিনি আরও বলেন, ভারত জানে কীভাবে শত্রুর জবাব দিতে হয়।

এদিকে কংগ্রেস মুখপাত্র কেসি বেনুগোপাল জানান, পহেলগাম একটি উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এমন হামলা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, এই অঞ্চল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। নিরাপত্তা গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত হওয়া জরুরি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ