ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশ দ্রুত বিমানের কার্গো অবকাঠামো বৃদ্ধি করছে। গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের নিরবচ্ছিন্ন রপ্তানি নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনবল নিয়োগ ও পরিবহন খরচ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একমাত্র গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং এজেন্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিরবচ্ছিন্ন কার্গো কার্যক্রম সহজতর করতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া শুক্রবার বলেছেন, আমরা (বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ) বিমানের কার্গোকে আরো সাশ্রয়ী করার জন্য বর্তমান বেসামরিক বিমান চলাচল ও গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং শুল্ক সংশোধন করতে একসঙ্গে কাজ করছি।
তিনি বলেন, কার্গো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত ফি ও খরচ সহজতর ও হ্রাস করতে সরকার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সকল অংশীদারদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করছে।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বাহ্যিক বাধাবিঘ্নের পরেও যেন বিমানে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম অব্যাহত থাকে, সেজন্য আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই হ্রাসকৃত হ্যান্ডলিং চার্জ ঘোষণার আশা করছি।
বেবিচক ইতোমধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করেছে। এছাড়াও, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ কার্গো কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এরপর শিগগিরই চট্টগ্রাম বিমানবন্দরেও তা শুরু হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দ্রুত করার জন্যও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার বেবিচক চেয়ারম্যান কার্গো কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে সিলেট বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনালের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সিলেটের অত্যাধুনিক কার্গো টার্মিনাল অত্যন্ত ক্ষমতা সম্পন্ন উল্লেখ করে মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর আগে আমাদের বিদ্যমান অবকাঠামো শিগগিরই দুই থেকে তিনগুণ বেশি কার্গো পরিচালনা করবে।
সরকারি খরচায় ১১ লাখ ৯৫ হাজার জনকে আইনি সহায়তাসরকারি খরচায় ১১ লাখ ৯৫ হাজার জনকে আইনি সহায়তা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. সাফিকুর রহমানও জরুরি পদক্ষেপের কথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের বন্দর হয়ে যেসব পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না, সেসব পণ্য পরিবহনের চাপ মোকাবিলায় নতুন কার্গো কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।