ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরার নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জাকির হোসেন (৪০) নামে জামায়াত নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওসি নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় জাকির হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের জহির আহমেদের ছেলে জাকির হোসেন জেলা জামায়াতের রুকন পদে ছিলেন। এছাড়া তিনি দলের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ফেনী পৌর শাখার সাবেক সহকারী সেক্রেটারি। মামলায় তার ছোট ভাই আমির হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, জাকির হোসেন ওসির নাম ব্যবহার করে ফেনী আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানকে অন্য একটি মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। পরে এ সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কল রেকর্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়, প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসানকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিতে ২ লাখ টাকা নেন জামায়াত নেতা জাকির হোসেন। আরেক দফায় আরও ১ লাখ টাকা নেন মামলার অন্য আসামি আমির হোসেনের কাছ থেকে। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করে টাকা আদায় করে অপরাধ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার এসআই মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে, ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে জাকিরের তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে জেলাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এ ঘটনায় জামায়াতের ফেনী জেলা শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাকির হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সুত্র: সমকাল