Tuesday, June 17, 2025

বাংলাদেশে সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি করা নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

আরও পড়ুন

সহিংসতার ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত চলে না এবং বাংলাদেশে সহিংসতার জন্য দায়ী যেকোনও ব্যক্তিকে জবাবদিহি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ অক্টোবর) নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বাংলাদেশে ৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনা-বিরোধী আন্দোলন চলকালীন সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই সময় বাংলাদেশে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ নিহত ও চার শতাধিক থানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের অনেক সদস্যকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  পদত্যাগ করলেন ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান

মার্কিন প্রশাসন কি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা-সহ সকল ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘‘আমরা এটা পরিষ্কার করেছি যে, সহিংসতার কোনও অজুহাত নেই। আর সেটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হোক অথবা যারা প্রতিবাদ করছে তারাই করুক না কেন, সহিংসতায় যে কেউ জড়িত থাকুক তাদের জবাবদিহি করা উচিত।’’

পরে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজায় ইসলামি সংগীত ও কুরআন তিলাওয়াতের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, এমন খবর আছে যে, হিজবুত তাহরীর এবং জামায়াতে ইসলামির অনুসারীরা বাংলাদেশে হিন্দুদের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজায় ইসলামিক গান পরিবেশন করেছেন এবং এমনকি জোর করে কুরআনের আয়াতও পাঠ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  জাতিসংঘকে হুমকি দিল ইসরায়েল

মার্কিন প্রশাসন এই ঘটনাকে কীভাবে দেখছে? বাংলাদেশ এবং এর আশপাশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রশাসন কী বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করবে? এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ এবং অন্যত্রও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। নির্দিষ্ট ওই ঘটনার বিষয়ে আমি আপনাকে পরে জবাব দেব। আপনি একটি জবাব পাবেন।

কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।

আরও পড়ুনঃ  প্রথম রাউন্ডে কত ভোটে পিছিয়ে মোদি

তবে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেডআই খান পান্না বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধের জন্য দায়মুক্তির কোনও সুযোগ নেই। এখন যেসব প্রচেষ্টা চলছে তা অবৈধ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ