Monday, June 16, 2025

ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ৮ মাস: ঋণমুক্তি, রিজার্ভ বৃদ্ধি, বিশ্ব আস্থা ফিরলো যেভাবে!

আরও পড়ুন

মাত্র আট মাসের মধ্যে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পরিশোধ করা হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ, বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ফিরেছে আন্তর্জাতিক আস্থা। দেশের অর্থনীতিতে যেন জাদুকরী ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু কীভাবে এত অল্প সময়ে এমন সাফল্য সম্ভব হলো?

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের পাশাপাশি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি এখন পুনরুদ্ধারের পথে।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ: কানাডা-মেক্সিকোর পর এবার ইউরোপ

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে (জুলাই ২০২৩) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ২০.৪ বিলিয়ন ডলার (IMF-এর BPM6 পদ্ধতি অনুযায়ী)। মাত্র আট মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৪ বিলিয়ন ডলারে, আর গ্রোস রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক দেনা ছিল প্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা। এখন তা কমে ১০,০০০ কোটি টাকায় নেমেছে। অর্থাৎ, ২৯,০০০ কোটি টাকা (প্রায় ২.৮ বিলিয়ন ডলার) ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এই ঋণ যদি পরিশোধ না হতো, তাহলে রিজার্ভের পরিমাণ আরও ২৯ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারত।

আরও পড়ুনঃ  চিলির উপকূলে এক ব্যক্তিকে গিলে নিয়ে আবার ছুড়ে দিল তিমি

অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ৪০ দেশের ৬০০ এর বেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেন। এতে চীনের হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে।

ড. ইউনূসের চীন সফরের পর ২১০ কোটি ডলার (প্রায় ২.১ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ ও ঋণের প্রস্তাব এসেছে, যা অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে। এছাড়া, প্রযুক্তি ও সেবা খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে, একাধিক বিনিয়োগ চুক্তি আলোচনাধীন।

আরও পড়ুনঃ  নরসিংদীতে চাঁদা না দেয়ায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মাত্র আট মাসে অর্থনীতির এই অগ্রগতি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এখন নতুনভাবে অবস্থান গড়ে তুলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গতিধারা অব্যাহত থাকলে দেশ দ্রুতই একটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ