সাগরে কায়াকিং করার সময় একটি তিমি আদ্রিয়ানকে মুখের মধ্যে পুরে নেয় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছুড়ে বের করে দেয়।
চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় সাগরে একটি বিশাল হাম্পব্যাক তিমি এক কায়াকারকে গিলে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আবার অক্ষত অবস্থায় মুখ থেকে ছুড়ে দিয়েছে।
ওই কায়াকারের নাম আদ্রিয়ান সিমানকাস। গত রোববার তিনি তার বাবার সঙ্গে কায়াকিং করতে পুন্তা আরেনাস শহরের উপকূলীয় সাগরে গিয়েছিলেন। সাগরে কায়াকিং করার সময় একটি তিমি ভেসে ওঠে আদ্রিয়ানকে মুখের মধ্যে পুরে নেয় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ছুড়ে বের করে দেয়।
“আমি এমন অনুভব করছিলাম যেন আমাকে উপরে তোলা হচ্ছে, কিন্তু এটি পরিষ্কারভাবে একটি ঢেউ থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল,” বলেন আদ্রিয়ান।
“যখন আমি পেছনে তাকালাম, নীল ও সাদা কিছু একটা আমার মুখের খুব কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছে অনুভব করলাম। কী হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না। এরপর সবকিছু, আমি নিচে চলে গেলাম আর ভাবলাম আমাকে গিলে ফেলা হয়েছে।”
ভাগ্যক্রমে তিমিটি আদ্রিয়ানকে দ্রুত মুখ থেকে ছুড়ে বের করে দেয়। আরেকটি কায়াকে থাকা আদ্রিয়ানের বাবা এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন।
তার বাবা ডেল সিমানকাস বলেন, “আমি ক্যামেরা চালু করার পর আমার পেছনে সজোরে একটি ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ পেলাম। আমি পেছনে ঘুরে কিছুই দেখলাম না। তখনই ভয় পেলাম যখন আদ্রিয়ানকে আর দেখলাম না।
“তিন সেকেন্ড পর সে হঠাৎ ছিটকে এল কায়কটি ছাড়াই। এর এক সেকেন্ড পর কায়কটি ভেসে উঠল আর তখন আমি কিছু একটার পাখনা দেখলাম।”
এই আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আদ্রিয়ান ধরে নিয়েছিলেন, তার মৃত্যু হতে যাচ্ছে।
“আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ, আমি মরে গেছি। অদ্ভুত তিনটি সেকেন্ড ধরে আমি ওর মুখের ভেতরে ছিলাম,” বলেন তিনি।
পূর্ণবয়স্ক হাম্পব্যাক তিমি দৈর্ঘ্যে ৪৬ থেকে ৫৬ ফুট পর্যন্ত এবং ভর ৪০ টনের মতো হয়ে থাকে। এসব তিমি ছোট মাছ ও ছোট চিংড়িজাতীয় প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।