ভোলার দৌলতখানে কবরস্থান থেকে পাঁচজন মৃত ব্যক্তির লাশ ও কাফনের কাপড় তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিরা বাড়ি ও হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশগুলো চুরি হয়।
কবরগুলো ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ হাওলাদার, হাজেরা বেগম, শাহনাজ বেগম, আবুল খায়েরের। তবে বাকী এক ব্যক্তির নাম এখনো জানা যায়নি।
এদের মধ্যে শাহনাজ বেগমের মৃত্যু হয়েছিল এক বছর আগে। তার স্বামীর নাম আনিছুল হক। ৯ মাস আগে মৃত্যু হয় হাজেরার। তিনি ওই এলাকার আমির হোসেনের স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় মফিজ মিয়া বলেন, আজ (শনিবার) সকালে নামাজের পর আমি কবর জিয়ারতে করার সময় দেখতে পাই আমার ভাতিজির কবরে গর্ত রয়েছে। পরে আমি ভাতিজাকে মাটি দেওয়ার জন্য বলি। ১০টার দিকে আমার ছেলে আমাকে সংবাদ দেয় ৫টি লাশ ও দাফনের কাপড় চুরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার ফজরের পর কবর জিয়ারত করতে যান এক ব্যক্তি। এ সময় একটি কবরের মধ্যে সুরঙ্গ দেখতে পান তিনি। পরে আশপাশের লোকজনসহ কবরটি দেখতে গেলে একে একে পাঁচটি কবরে সুড়ঙ্গ দেখা যায়। কবরগুলোতে কোনো মরদেহ নেই।
নুর ছলেমান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে প্রায় ৫০টি কবর রয়েছে। গতকাল দিবাগত রাতে পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যে সব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে সেগুলো প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগের পুরোনো। তবে এদের মধ্যে একজনকে এক মাস আগে দাফন করা হয়।
ওই এলাকার মসজিদের ইমাম মাওলানা অলিউল্লাহ জানান, খবর পেয়ে কবরস্থানে ছুটে যাই। পরে কবরস্থানে গিয়ে দেখি পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। এটা চরম দুঃখজনক ঘটনা। যারা এই ঘৃণ্যতম কাজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ইসলামের সহি বুঝ দান করুক। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত নিষ্ঠুরতম ও নিন্দনীয় কাজ।
এ ব্যাপারে লাশের স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে। যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার না ঘটে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।