Tuesday, June 17, 2025

বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত ১০২ জনের ৩১ জনই ঢাবির

আরও পড়ুন

১৭তম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সর্বমোট ১০২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) হিসাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, এবারের বিজেএস নিয়োগ পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশী সংখ্যক সহকারী জজ/জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগেই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৬ জন শিক্ষার্থী। এদেরই একজন প্রতীক আল জাদীদ মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে। এছাড়া মেধাতালিকায় চতুর্থ হয়েছে ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার।

আরও পড়ুনঃ  এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চেয়ে যা বললেন জামায়াত আমির

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪১ তম ব্যাচ থেকে ৩ জন, ৪২ তম ব্যাচ থেকে ৫ জন, ৪৩ তম ব্যাচ থেকে ৫ জন, ৪৪ তম ব্যাচ থেকে ৬ জন, ৪৫ তম ব্যাচ থেকে ৬ জন, ৪৬ তম ব্যাচ থেকে ৬ জন সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে।

৪১ তম ব্যাচ থেকে সহকারী জজ হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো, মেহেদী হাসান, মোহায়মিনুল ইসলাম, সোনিয়া আক্তার ডলি। ৪২ তম ব্যাচ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন, চয়ন বালা, সাহেরা নিশি, রাফায়াত তাকি, আতিক হাসান, ফারহানা নাজনীন। ৪৩ তম ব্যাচ থেকে তারেক মজুমদার, জ্যোতি রানি গৌড়, আশরিফা আকন্দ ঐশী, আহমেদ সাজ্জাদ, আমীর হামজা। বিভাগের ৪৪ ব্যাচ থেকে মো. রেজাউল ইসলাম, তানজিলা আক্তার, মহিউদ্দিন, মো. ওমর ফারুক, সাজ্জাদুল ইসলাম, আফসানা সাদিয়া।

আরও পড়ুনঃ  কাতার আমিরের মায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে যে আলোচনা হলো

এছাড়া ৪৫ ব্যাচ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন রবিন মিয়া, নিশাত রেজা, নাহিম হাসান, ইস্তাক আহমেদ, আনন্দ পাল, আব্দুল্লাহ আল হোসেন জুবায়ের। ৪৬ তম ব্যাচ থেকে শেখ সাদলি আল জাদিদ, লাবিব মেজবাহ, মেহেদী হাসান, নিশাত মনি, মরিয়ম রিমা, সাদিয়া আফরোজ সানাম।

বিভাগের এমন সফলতায় উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা। এমন ফলাফল উদযাপনে সম্প্রতি বিভাগে সুপারিশপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে গেট টুগেদারের আয়োজনও করে তারা।

সহকারী জজ হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে সবসময় মনে মনে কল্পনা করতাম বিচারক হয়ে আমার মা-বাবাকে সম্মানিত করার সুযোগটা যেন আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেন। এবার কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসাবে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে একজন বিচারক হিসাবে কবুল করেছেন।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ