Tuesday, June 17, 2025

বিয়ের আসরে যে ‘কথাটি’ বলায় গণপিটুনি খেলেন বর

আরও পড়ুন

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের আসরে স্ত্রীকে তালাক দিতে চাওয়ায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বর রফিকুল ইসলাম। দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ি গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে এমন বিপাকে পড়েন পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। বে এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি বলেন, ঝামেলা মিটমাট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর গোপন ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইলের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়। প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাঁধ সাধেন বরপক্ষের লোকজন।

তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দর কষাকষি ও কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে বর রফিকুল বলে বসেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করব, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাব।’

আরও পড়ুনঃ  কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে যা জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ

বরের এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কনেপক্ষ। কনেপক্ষ ও স্থানীয় জনতার রোষাণলে পড়ে বরপক্ষ। একপর্যায়ে গণপিটুনির শিকার হন বর রফিকুল ইসলাম। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রাজীব জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেয়া হয়। পরে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পরে বিষয়টি নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন তারা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ