Tuesday, June 17, 2025

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছেন: মির্জা ফখরুল

আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দয়া করে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেটি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।

বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বস্তিকর প্রস্তুতির মধ্যে বসবাস করছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার পক্ষে একমত হয়েছে , সেগুলো সংস্কার করুন, সেগুলো সামনে নিয়ে আসুন। নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেগুলো হয়নি সেগুলো নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পার্লামেন্টে আইন পাস হবে।

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগের মিছিলে অংশ নেওয়া কেসিসির লাইসেন্স অফিসার গ্রেপ্তার

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংস্কারের তো প্রথম শুরু করেছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সংস্কার তো আমাদের দাবি।

দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করছে গণতন্ত্রের ওপর। নির্বাচনই গনতন্ত্র উত্তরণের পথ। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই সব সমস্যা দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কর্মী সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকে বলেন- ১৭ বছর ধরে আপনার কি করেছেন? আরে, আমরা ১৭ বছর ধরে গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে গাছের গোড়া নরম করেছি, দুই দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনা যায়নি। যারা বলেন, ১৭ বছর কি করেছেন? তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করছেন।

আরও পড়ুনঃ  আন্দোলনকারী নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নও চালিয়েছে আ.লীগ

তিনি বলেন, কেউ একা সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপদে ফেলছেন কিনা এটা খেয়াল রাখবেন। দেশে দুর্ভোগ ধেয়ে আসছে। আমাদের মধ্যে মতনৈক্য দেশটাকে খেয়ে ফেলবে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো গোপন চুক্তি করবেন আর এটা বলবেন না, এটা হবে না। মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে দেশটাকে বিপদে ফেলবেন না। কারণ আফগানিস্তানকে মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে পাকিস্তান এখনো দুর্ভোগে ভুগছে।

‘যেটা বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, সেটির চুক্তি প্রয়োজন নেই, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে সেই করতে চাইলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা আব্বাস।

আরও পড়ুনঃ  কাশ্মিরে সংঘর্ষে ভারতীয় সৈন্যসহ নিহত ৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও গণতন্ত্র এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তারেক রহমানের ওপর বিশ্বাস রেখে বলছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে বিএনপির বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র তা থামবে। মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সরকারে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার কমিশনে বিএনপি যেগুলো সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা নির্বাচনের আগে আইন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলেই কোন সমস্যা থাকবে না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ