ড. ইউনূসের মতো লোক রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, সেটা ভারত চায়না—মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আবদুল হক। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল হক বলেন, “ভারত বাংলাদেশের জন্য যে বক্তব্যই দিক না কেন, তা ধরে নিতে হবে সেটি বাংলাদেশের স্বার্থ ও জনগণের বিপক্ষে। এটাই যেন এক ধরনের ম্যাগনাকার্টা।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনাপ্রধানরা কখনও রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। কিন্তু ড. ইউনূস রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হওয়ার পরপরই ভারতীয় সেনাপ্রধান ‘আউট অব দ্য ওয়ে’ এসে বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত সরকার ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলব না।’ এই বক্তব্যের প্রতিবাদ কোনো ভারতীয় রাজনীতিবিদ করেননি। বরং তারা ওই সেনাপ্রধানকে ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশকে হুমকি দেওয়ার কাজে।”
কর্নেল হক মনে করেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খুব অল্প সময়েই অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করতে পারে, আর সেটাই ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস ক্ষমতায় এলে তাঁর মিশন ও ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা ভারত চায় না।”
তিনি আরও দাবি করেন, ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একের পর এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। কর্নেল হকের মতে, এটাই ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রতিফলন, আর এটিই থামাতে ভারত উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, “এটি হচ্ছে ক্যারিশমাটিক লিডারশিপ—যা দেশের স্বার্থে কাজ করে, আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র।”