জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মামলায় একদিনে ১৯ জন আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো, যা এই মামলার ইতিহাসে প্রথম। রোববার (২০ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাবেক ১১ জন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী, দুইজন উপদেষ্টাসহ মোট ১৯ জনকে হাজির করা হয়।
শুনানির শুরুতেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করে প্রসিকিউশন। চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশব্যাপী সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের তদন্ত এখনও চলমান এবং তা সম্পূর্ণ করতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি। আদালত আগামী ২০ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, তার মন্ত্রিপরিষদ এবং পুলিশ বাহিনী তা বাস্তবায়ন করেছে। পরিকল্পনা, সংগঠন ও মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা—সব মিলিয়ে এটি একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই তাদের পদ অনুযায়ী দায় বহন করেন।”
এদিন আদালতে হাতকড়া পরানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানসহ কয়েকজন আসামি। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনাল পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, কারণ আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহাসান হাজতখানায় হেলমেট ছুঁড়ে ফেলেন।