Friday, May 2, 2025

ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারি, হয়ে গেলেন জিয়া মঞ্চের সভাপতি

আরও পড়ুন

গত বছরের ৫ আগস্টের আগে জামসেদুল ইসলাম টুটুল ছিলেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তিনি এখন জিয়া মঞ্চের সভাপতি।

জিয়া মঞ্চের হাতিয়া উপজেলা হরণী ইউনিয়ন শাখার ২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুল সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ঘূর্ণিঝড় রিমাল আক্রান্ত অঞ্চলে মিনিট ও ডাটা ফ্রি দিচ্ছে গ্রামীণফোন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মী জানান, জামসেদুল ইসলাম টুটুল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সভা সেমিনারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা করতেন। তিনি আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আর আমরা একাধিক হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কীভাবে নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করেন। কীভাবে জিয়া মঞ্চের মতো সংগঠনের সভাপতি হন তা বোধগম্য নয়।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছেন: মির্জা ফখরুল

এ বিষয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরনী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলাম। তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ আমার অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর কাছে যেতে এবং নৌকার পক্ষে ভোট করতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ