বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশে আল্লাহর আইন, সৎ লোকের শাসন এবং পরিশুদ্ধ-জনবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে উত্তরা পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
থানা আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিক হাসানের পরিচালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন। এছাড়াও দাওয়াতী গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে মোহাম্মদপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে লালমাটিয়া এলাকায় গণসংযোগ করা হয়।
অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর থানা উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের তৈরি মতবাদ দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়। এ কথা ১০০তে ১শই প্রমাণ হয়েছে। আমাদের দেশ আল্লাহর প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী পরিচালিত না হওয়ায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। দেশে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিল না। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, অপশাসন ও দুঃশাসন পুরো জাতিকে অক্টোপাশের মতো চেপে ধরেছিল। সে ধারাবাহিকতায় দেশে পাপাচার ও দূরাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। দেশ চলেছে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে। পতিত সরকারের আমলে দেশে জনগণের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পর ৭/৮ মাসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশে পুরোপুরি শান্তি ফিরে আসেনি। তাই দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে গণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি সে কাঙ্ক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে জামায়াতের দাওয়াতি পক্ষ চলছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছানো আমাদের কর্তব্য হয়ে পড়েছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার আবশ্যকতা, যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা প্রত্যেক মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। দেশে সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ যে অপরাধ, পাপাচার ও দুর্নীতিমুক্ত হবে সে কথাও মানুষকে বোঝাতে হবে। মূলত, আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যে সমাজে কোনো বৈষম্য, অন্যায় ও জুলুম থাকবে না। আর এমন ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
তিনি দাওয়াতি পক্ষকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান এবং পক্ষের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় সেলিম উদ্দিন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের মাঝে জামায়াতের পরিচিত বিলি করেন, তাদের সহযোগী সদস্য ফরমফিলাপে নেতৃত্ব দেন