Sunday, June 15, 2025

বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বরের বাবাকে জরিমানা

আরও পড়ুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরী। শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী পৌরসভার নয়নপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। কনে স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্রী।

প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার ভাদুঘর এলাকার দক্ষিণপাড়ার বরকত আলীর ছেলে মো. নিলয়ের (২০) সাথে পারিবারিকভাবে নয়নপুর এলাকার ওই অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোরীর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয়। দু’পক্ষের নির্ধারণ করা তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এ বাল্য বিয়ের বিষয়ে সদর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন।

আরও পড়ুনঃ  তরুণীর সঙ্গে ৬ বছর ধরে প্রেম, বিয়ে করতে না চাওয়ায় প্রেমিকের কাণ্ড

এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়ার নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী বিয়ের বিষয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করেন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরপক্ষের যাত্রা সংবাদ পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট । দুপুরের দিকে কনের বাড়িতে হাজির হন তিনি। সেখানে অভিযান চালিয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এ সময় বাল্য বিয়েতে রাজি হওয়ায় ছেলের বাবাকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষার্থীদের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করা ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী বলেন, কনে অপ্রাপ্ত বয়সের। তার বয়স মাত্র ১৪ বছর। কনের দাদা আনসার আলী ও বরের বাবা বরকত আলী আর বাল্য বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ছেলের বাবাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং বাল্য বিয়ে দিবেন না মর্মে উভয়পক্ষ মুচলেকা দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ