রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘অস্ত্র ঠেকিয়ে চার যুবকের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ে’র একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলমেট পরা দুই যুবক একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চালককে মারধর করে ফেলে দেয়। এরপর মুখ বাঁধা আরও দুই যুবক এসে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় এক যুবক ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের ভয় দেখায়, পরে চার জন দুইটি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত চলে যায়।
এই ঘটনার সময় ভিডিওতে থাকা দায়িত্ব পালনরত এক আনসার সদস্য মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পর তিনি ভুক্তভোগীর কাছে গিয়ে কথা বলেন।
তবে এই ঘটনা আসলে একটি শুটিং ছিল বলে জানা গেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিলের ২ নম্বর ব্রিজের মহানগর পূর্ব পাশের এলাকায় এ দৃশ্য ধারণ করা হয়।
হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, হাতিরঝিলে ছিনতাইয়ের ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে ভিডিওতে থাকা আনসার সদস্য জানিয়েছেন, এটি শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ছিল।
ভিডিওতে থাকা দায়িত্বরত আনসার সদস্য সুনীল বলেন, প্রথমে আমি ঘটনাটি বুঝতে পারিনি। পরে এগিয়ে গেলে জানানো হয় এটি শুটিংয়ের একটি অংশ, যা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে।
এদিকে, ছিনতাইয়ের ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি আল আমিন ইসলাম সোহেব (Al Amin Islam Soed) নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়, যাতে রাত দেড়টা পর্যন্ত সাত লাখের বেশি ভিউ হয়। তবে পরে সাকিব রাজ (Sakib Raj) নামে আরেকটি প্রোফাইল থেকে শুটিংয়ের পূর্ণাঙ্গ ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, ‘এটি একটি সতর্কতামূলক ভিডিও, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে তৈরি। দয়া করে এটি সত্যি হিসাবে নেবেন না।’
ভিডিওতে দেখানো হয়, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সংশ্লিষ্টরা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন এবং পাঠাও চালকদের নির্জন স্থানে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ভিডিও বার্তায় আনসার সদস্য সুনীলেরও একটি বক্তব্য নিয়েছেন ভিডিও নির্মাতারা। সেখানে সুনীল বলেন, ‘ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে জনগণেরও সচেতন হওয়া জরুরি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সতর্কতামূলক ভিডিওর শেষে অংশে আরও বলা হয়, এখানে খেলনা পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণ সতর্কতামূলক উদ্যোগ। যা বাস্তব ঘটনা নয়।