ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমনের বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ তুলেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ইমন দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে আসছেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করেন এবং নানা ধরনের মানসিক হয়রানি করেন। শিক্ষক ইমন হাত ধরে টানেন, নখ ও শরীরের গঠন নিয়ে কটূক্তি করেন, কোমরের মাপ নেন, পিঠে হাত দেন এবং শারীরিক বিষয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সহপাঠী ছাত্র-ছাত্রীরা একসঙ্গে খেলাধুলা করলে তিনি নোংরা মন্তব্য করেন ও সহপাঠীদের সামনে তাদের অপমান করেন।
অভিযোগপত্রে এ ধরনের হয়রানির অবসান চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে স্বাক্ষর করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ১২ জন শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। নতুন করে একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। “আমরা একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কামনা করি না। অনতিবিলম্বে অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ইমন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মো. নান্নু মিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নান্নু মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। অন্য শিক্ষকদের নিয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শ্রেণিতে পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে বিরত রাখা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।