Monday, June 16, 2025

সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতাদের কেন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

আরও পড়ুন

৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি চাকরিজীবী নেতাদের ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলেল সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক আসাদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ আমার আন্দোলন করছি। সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছি। এরপর আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের ডেকেছেন। ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকিরপুত্র সাফায়েত গ্রেফতার

তিনি জানান, আমাদের সাত দফা দাবি হলেও মূলত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন এই দুই দফা দাবির প্রতি বেশি গুরুত্ব দেবো। ছাত্র জনতা যে বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বৈষম্যবিহীন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আশা করি কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে যে বৈষম্যের শিকার সেটি ড. ইউনূস বুঝবেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেস আলী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশফাকুল আশেকীন, ১১-২০ ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান, সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, খায়ের আহমেদ মজুমদার, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম মিয়া, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নেতা রফিকুল আলম ও সালজার রহমান।

আরও পড়ুনঃ  রাইসির দেহরক্ষীকে নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে

এর আগে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনবারে সাত দফার পক্ষে মহাসমাবেশে সরকারকে সাতদিন অর্থাৎ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় সারা দেশের সব অফিসে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। মহাসমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করলে পুলিশ শাহবাগে পদযাত্রা আটকে দেয় এবং সরকারি কর্মচারীদের ওপর জলকামাম নিক্ষেপ করে।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে—পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণা, বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদান, যে সকল কর্মচারী নিজ গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করা। এছাড়া রয়েছে বৈষম্যহীন এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি এবং আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন, আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ণের ক্ষেত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আপগ্রেডেশন/ পদোন্নতি নীতিমালা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা এবং ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ শতভাগ আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি প্রদান করা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ