নাটোরের বড়াইগ্রামে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৫), স্বেচ্চাসেবক দলের কর্মী সাইফুল ইসলাম (৪২), রুবেল আলী (২৮), সোহেল রানা (২৬), শুভ আলী (২২), জিন্নাহ আলী (৫৫), আজগর আলী (৬৫), সানিফ হোসেন সুজন (২৮), যুবদলকর্মী হৃদয় হোসেন (২৫), সানাউল্লাহ (৫৫), উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নাসিম হোসেন (২৭), সাইদুল ইসলামকে (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসতেছিল। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয় তৈরির জন্য উপজেলার কয়েন বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিই। সেই কার্যালয় রবিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করার সময় আতাউর রহমান ও তার লোকজন এতে বাধা দিয়ে আমাদের মারধর করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিল। আমার ছেলেরা তাদের পুলিশে সোপর্দ করলে মিজানুর রহমান সেই ছাত্রলীগকর্মীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে মারপিট করে।’
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।