ভেঙে ফেলা হয়েছে বরগুনার ‘বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর’। নৌকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানোর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বরগুনায় নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
পর্যটন উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান বলেন, বরগুনা উপকূলীয় জেলা, চারপাশে নদী বেষ্টিত নৌকা আমাদের ঐতিহ্য। তবে দলীয় পতিক হিসেবে না দেখে ঐতিহ্য হিসেবে ভাবলে নৌকা জাদুঘরে রাখা যেত। হয়ত নামের পরিবর্তন করে নৌকা জাদুঘরটা টিকি রাখা হলে আমাদের উপকূলের ঐতিহ্য টিকে থাকতো। তবে এটা সরকারি সম্পত্তি এটা ভাঙ্গতে পারতো ডিসি। তিনি নতুন কোনও পরিকল্পনা বা ডিজাইন করে নতুন আঙ্গিকে করতে পারতো।
বরগুনা জেলার ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান টিপন বলেন, নৌকা জাদুঘরের নামে ১০ টা জাদুঘরের চাঁদা উঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি দখল করে নৌকা জাদুঘর করা হয়েছে। তাই জনগণ এটা ভেঙ্গে ফেলেছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট মুরাদ খান বলেন, নৌকা জাদুঘর এটাকে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নাম দেওয়ার কারণে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে জনগণ ৫ তারিখ আগুন দিয়ে পোড়ানোর পর খালী হাতে ভাঙতে ব্যর্থ হলে সরঞ্জাম নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে ভেঙে ফেলা হয়েছে। শহিদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার তৈরি করার দাবি জানাই জেলা প্রশাসকের কাছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজবিউল কবির বলেন, এখানে গণপাঠাগার ছিল সেটা ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে, এখান থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তৎকালীন সরকারের তেলবাজি করার জন্য বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে। এখন জনগণ এটা ভেঙ্গে ফেলছে যারা ভাঙ্গছে তারা দেশ প্রেমিক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। তৎকালীন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জাদুঘরটির পাশাপাশি নৌকা গবেষণাকেন্দ্র, আধুনিক লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিশুদের বিনোদনের জন্য রাইড, থিয়েটার, ক্ষুদ্র ক্যাফেসহ নানা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আশ্বাস ছিল। তবে উদ্বোধনের ৪ (চার) বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।