Monday, June 16, 2025

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বাংলাদেশে আঘাত হানা নিয়ে যা বললেন আবহাওয়াবিদ

আরও পড়ুন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপকূলের মানুষ।

এমন অবস্থায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সমতলে প্রবেশ করার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।

আরও পড়ুনঃ  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাগর উত্তাল থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানা সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম এর মাঝামাঝি এলাকাগুলোয় দমকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। এর ফলে কোনো কোনো এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও অতিভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভবনা নেই।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আরও বলেন, বাংলাদেশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার হতে পারে, যা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশের তেমন একটা পড়বে না। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর বেশি সংকেত আর বাড়ানোর সম্ভবনা নেই।

আরও পড়ুনঃ  ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দূরে, মংলা থেকে ৪৮৫ কিমি, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৫৯৫ কিমি দূরে অবস্থান করছে। চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গপোসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ