Monday, June 16, 2025

৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মৃত্যু : ৭০ দিন পর যেভাবে পরিচয় শনাক্ত হলো

আরও পড়ুন

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মো. নুরুন্নবীর (৪৭) মরদেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার।সোমবার (১৪অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ বুঝে নেন স্ত্রী ফাতেমাতুজ্জোহরা ও ছেলে তাজনুর সিফাত।

নিহত নুরুন্নবীর ছেলে তাজনুর সিফাত বলেন, সখীপুর আনসার একাডেমি থেকে আমার বাবাকে যাত্রাবাড়ী থানায় পোস্টিং দেয়া হয়। গত ৫ আগস্ট আমার বাবা আমাকে ফোন করে বলেন- ‘আমাদের থানার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, আমাকে মাফ করে দিও বাবা’ এরপর থেকে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এরপর আর বাবাকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একসময় জানতে পারি যাত্রাবাড়ী থেকে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে অজ্ঞাত অনেক লাশ এসেছে। আমরা লাশ চিনতে না পেরে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দেই। সোমবার জানানো হয় মরদেহের সঙ্গে ডিএনএ মিলে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশ-সেনাবাহিনীর এপিসি-জলকামান মোতায়েন

নিহত নুরুন্নবীর স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ৫ আগস্ট থেকে আমার স্বামীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। তিনি বেঁচে আছেন কি না জানতে পারছিলাম না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিএনএ নমুনা দেয়া হয়। আজ থানা থেকে আমাদের খবর দেয়া হলে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করি।

তিনি জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার পুর্বঅশ্বদিয়া গ্রামে। নুরনবীর বাবার নাম আব্দুর রব। ঘটনার সময় তিনি যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটিতে ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশ-সেনাবাহিনীর এপিসি-জলকামান মোতায়েন

তিনি বলেন, ‘দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৫ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ জুলাই তাকে গাজীপুর সফিপুরে স্থানান্তিরত করা হয় এবং ২ আগস্ট তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটি দেয়া হয়। ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। পরে কয়েকবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে মরদেহ পাই তবে মরদেহ শনাক্ত করতে পারি নাই। পরে আমার এবং ছেলে তাজনুর সিফাতের মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ায় আমার স্বামীর মরদেহ বুঝে পাইছি।’

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশ-সেনাবাহিনীর এপিসি-জলকামান মোতায়েন

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম বলেন, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে অনেকেই মারা যান। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। অনেকেরই পরিবার মরদেহ শনাক্ত করতে পারেনি। এরপর আমরা ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাই। নুরুন্নবীর সঙ্গে তার পরিবারের ডিএনএ মিলে গেছে। আজ তার পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ