Friday, March 14, 2025

আওয়ামী লীগের দুই মন্ত্রীর জামিন, কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং এম এ মান্নান হত্যা মামলায় জামিন পেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

আলোচনায় বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যার এখনও দুই মাসও শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সহযোগীদের বিচার না করে জামিন দিয়ে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হলেও এই দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি, মানুষের কাছে তাদের মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যে চার কারণে পিছু হটল জামায়াত

এদিকে সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি আইনমন্ত্রী থাকাবস্থায় একজন খুনি কীভাবে জামিন পায়। এই এলাকায় কী রকম জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে। কতজন হাত-পা হারিয়েছে। জনির মতো তরুণ জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে এই জায়গায় নিয়ে এসে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। সাবের হোসেন চৌধুরী এর জন্য দায়ী নয় কি? তার নির্দেশেই (সাবের হোসেন চৌধুরী) ওই এলাকায় ১১ জন গুম-খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।’

আরও পড়ুনঃ  ১৯ বছর পর আজ প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টা একটু চোখে লাগার মতো। আপনি রিমান্ড দিলেন, রিমান্ড শেষ হয়নি, তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি; আবার পরদিন সব মামলায় আপনি জামিন দিচ্ছেন। নরমালি কোর্ট প্রসিডিউরে যা হচ্ছে, তা কেউ সাধারণ হিসেবে বিশ্বাস করবে না। নরমাল জামিন হলে রিমান্ড শেষ হতো, তাকে কোর্টে আনা হতো, তারপর জামিন অনুমোদন করা হতো। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত এসব মামলায় কাউকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এখানে ব্যতিক্রম হওয়ায় সবার চোখে লেগেছে।’

রিমান্ড থাকাবস্থায় সাবের হোসেন চৌধুরীর হঠাৎ জামিনের বিষয়টি রহস্যজনক ঘটনা বলে মনে করছে বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনও।

আরও পড়ুনঃ  ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না, সরকারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ

দুই মন্ত্রীর জামিন নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘কেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও এমএ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই-বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেয়া হলো? এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা মনে করবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্নার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এ সরকারকে তার দায় নিতে হবে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ