Monday, June 16, 2025

অনেকে যে অবাক হচ্ছে তা দেখেই অবাক হচ্ছি’

আরও পড়ুন

কোটাবিরোধী থেকে সরকার পতন— ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একের পর রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। এটি নিয়ে কেউ কেউ যেমন আশ্চর্য হচ্ছেন, কেউ হতাশ হচ্ছেন অনেকে। ফেসবুকার এমন দোলাচল নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় মন্তব্য জানান তিনি।

আব্দুল্লাহ লেখেন, আন্দোলনের সাথে জড়িত বিভিন্ন ছাত্রের নানা রকমের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকে যে অবাক হয়ে একদম আকাশ থেকে পড়ছে, এটা দেখেই বরং অবাক হচ্ছি আমি। ক্যাম্পাস রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতি বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে খুবই আগ্রহের সাথে এবং ক্লোজলি অবজার্ভ করতে গিয়ে কার হালচাল কেমন, কার পলিটিক্যাল অরিয়েন্টেশন কোনদিকে, সেসব মোটামুটি আঁচ করতে পারতাম। ইনফ্যাক্ট যারা ক্যাম্পাস রাজনীতি খুব নিবিড়ভাবে ফলো করে, তাদেরও বুঝবার কথা।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত-শিবিরের হামলায় নয়, যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্ন হয় ভাইয়ের আঘাতে

এজন্যই যখনই দেখতাম পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর ক্রেডিট অস্বীকার করে যখনই কেউ কথা বলতো, আমি সেসব মুখরোচক তত্ত্ব ডিবাঙ্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করতাম।

আব্দুল্লাহর বক্তব্য, আপনারা যারা আমার লেখা বা কথার সাথে অভ্যস্ত বা নিয়মিত ফলো করেন, তাদের জানবার কথা আমি সেই প্রথম থেকেই বলে আসছি— রাজনৈতিক দলগুলো এই আন্দোলনে একদম ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো এবং তাদের প্রাপ্য ক্রেডিট কারোই অস্বীকার করা উচিৎ না। সেটা করলে তা হবে ইতিহাসের বিকৃতি। একইসাথে এই আন্দোলনের সব ক্রেডিট যদি এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই শুধু দাবি করে, সেটাও হবে মিথ্যা কথা। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থী, খেটে খাওয়া শ্রমিক-মজুর কিংবা মোটাদাগে আমজনতা সবাই নেমে গিয়েছিলো।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের ১ কোটির বেশি ভিডিও ডিলিট করলো টিকটক

সবশেষে গণঅভ্যূত্থানকে সবার ত্যাগের ফস উল্লেখ করে ঢাবির সাবেক এই ছাত্র লিখেন, এটা ছিলো ছাত্র-জনতা সবার অভ্যুত্থান এবং সেই অভ্যুত্থানে পলিটিকাল পার্টিগুলোর কর্মীদের সীমাহীন ত্যাগস্বীকার আর অবদান ছিলো— এই কথাটা যখন এপলিটিক্যাল বহু লোকজন মেনে নিতে চায় না বা ক্রেডিট দিতে চায় না, তখন মনে মনে বলি, রাজনীতিটাকে আরও ভালোমতো বুঝবার চেষ্টা করা উচিৎ আপনাদের, রাজনীতি এত সরল পথে চলে না, রাজনীতির অলিগলি বহু প্যাঁচানো!

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ