Sunday, June 22, 2025

প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে আইন হাতে তুলে নেব না: জামায়াত আমির

আরও পড়ুন

আমরা প্রতিশোধ নেব না বলেছি। এই প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেব না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নেব না বলেছি। তার মানে আমরা আইন হাতে তুলে নেব না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট ঘটনায় মামলাও হবে। সাজাও পেতে হবে। তবে মামলায় যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি ভুক্তভোগী না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  মাদরাসায় যাওয়ার পথে হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় তৎকালীন সরকার যা করেছিল, তা ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা। কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকতেই এসব করা হয়েছে। লাশ গুম করা হয়েছে। তার প্রমাণ আশুলিয়ায়। এই গণহত্যা যারা চালিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে কথা হলো ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর নানাভাবে জুলুম করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দিশাহারা হয়ে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে নিষিদ্ধও করে তারা।’

আরও পড়ুনঃ  কৃষি ব্যাংকের কক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‌‘ছাত্রদের শৃঙ্খলিত আন্দোলনকে উসকে দিতে চেয়েছিল বিগত সরকার, কিন্তু ছাত্ররা তাতে থামেনি। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। তাদের জুলুমের কারণেই ছাত্ররা এক দফা দাবি শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে সহমত জানায় আমজনতা ও বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলগুলো।’

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা সাক্ষ্যর মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের অনেককেই ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম দেওয়া হয়েছে। গুম করা হয়েছে। আয়নাঘরের মতো জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। ধর্মীয় অধিকার পর্যন্ত সেখানে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর।’

আরও পড়ুনঃ  জুলাই আন্দোলনকে ‘তথাকথিত’ বলায় দুঃখপ্রকাশ ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির

তিনি আরও বলেন, ‘একটা সভ্য দেশে আয়নাঘর কীভাবে থাকতে পারে? শুরুতে অনেকেই আয়নাঘরের কথা বিশ্বাস না করলেও আজ এটা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপরও একইভাবে নির্যাতন হয়েছে।
শাপলা চত্বরে যা হয়েছে তা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতারা দম্ভ নিয়ে বলতেন। তাতেই স্পষ্ট হয় সেদিন কতটা নৃশংসতা চালিয়েছিল তারা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ