ভারতের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক শক্তিধর দুইদেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় লন্ডনে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘লন্ডনে হাইকমিশনে হামলার জন্য ভারত দায়ী।’ খবর ডনের।
রোববার (২৭ এপ্রিল) ইসলামাবাদে পেহেলগাম ঘটনা সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পাক তথ্যমন্ত্রী ভারতের তুমুল সমালোচনা করেন। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ভারত তার “চরমপন্থি মতাদর্শ” ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিদেশি মিশনগুলোতে আক্রমণ করার জন্য নিজ দেশের নাগরিকদের উৎসাহিত করছে
আতাউল্লাহ তারা আরও বলেন, ‘লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে দুবার হামলা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তারা পাথর ছুড়েছিল। যারা দায়ী তারা ভারতীয় সংস্থা এবং ভারতীয় রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক।
কানাডায় শিখ নেতাকে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি যদি কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারেন, তবে কিছু বিদেশি মিশনে আক্রমণ করা আপনার কাছে কিছুই না।’
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের একটি দল হাই কমিশন ভাঙচুর করেছিল। তারা ভবনের বাইরের অংশে জাফরান রঙের পেইন্ট নিক্ষেপ করেছিল এবং জানালা ভেঙে দিয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ লন্ডনে হাইকমিশনে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি “নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য” তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে পাকিস্তান নিজেও তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। ঘটনার পর হাইকমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।