Monday, June 16, 2025

জুঁইকে হ*ত্যার আগে ৫ পা’ষণ্ডের বর্বরতার রোম’হর্ষক তথ্য

আরও পড়ুন

‘১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করা আর খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ ফূর্তি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় একটি আম বাগানে বসে গাঁজা সেবন করে তারা। এ সময় সেখানে আম কুড়াতে যায় সাত বছর বয়সী শিশু জুঁই। তাকে দেখে তাদের মনে পাশবিকতা জেগে ওঠে। শিশুটিকে ধরে নিয়ে যায় পাশের কলা বাগানে। এরপর সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শিশুটিকে তার পড়নের প্যান্ট দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। শুধু তাই নয়। লাশটি যাতে পুলিশ বা অন্য কেউ চিনতে না পারে সেজন্য অ্যাসিড জাতীয় তরল পদার্থ দিয়ে শিশুর মুখ পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।’

আরও পড়ুনঃ  কলাবাগানে লুকিয়ে ছিলেন আ.লীগ নেতা আলীম

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জুঁই হত্যার জড়িতরা। ইতোমধ্যে জুঁই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এক প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য জানান থানার ওসি মনজুরুল আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়ফা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদি (১৬), দুলাল হোসেনের ছেলে শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গরমাটি গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম (১৩) ও চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬)।

প্রেসব্রিফিংয়ে চাটমোহর থানার ওসি জানান, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে শিশু জুঁই তার দাদির বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রতিবেশীর আমবাগানে আম কুড়াতে যায় সে। সেখান থেকে নজড়ে পড়ে বখানে কিশোরদের। তাকে ভুলিয়ে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য মুখে এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনই জড়িত।

আরও পড়ুনঃ  গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের তিনজন

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ ফূর্তি করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পেরে তারা শিশু জুঁইকে পেয়ে তাকে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। ঘটনার পর বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ