Monday, June 16, 2025

নিবন্ধন ফিরে পেতে আদালতের ওপরই আস্থা জামায়াতের

আরও পড়ুন

রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৯ সালে নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের পর ২০১৩ সালে আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারায় জামাত। এরপর থেকেই দলটির নিবন্ধন আটকে আছে আপিল বিভাগে। দলের নেতারা যদিও বলছেন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হারানো নিবন্ধন ফিরে পাবার বিষয়ে আশাবাদী তারা। তবে নিবন্ধন ফিরে না পেলে কি করবে তা নিয়ে এখনো ভাবছে না দেশের বড় এই রাজনৈতিক দলটি।

সবশেষ ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচন অংশ নেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর ২০০৯ সালে রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে। ২০১৩ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন হারায় দলটি। এরপর কেটেছে প্রায় ১৫ বছর। ২০২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন করে নিবন্ধন ফিরে পাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও রায়ের পরেই আদালতে লিফট টু আপিল করে রেখেছিল দলটি।

আরও পড়ুনঃ  মেট্রোরেলে সিট না পেয়ে পুরুষের কোলে বসে পড়লেন নারী, অতঃপর যা ঘটলো

এবার প্রশ্ন উঠছে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া বা নিবন্ধিত দল হিসেবে নির্বাচন করতে কি করবে দলটি।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “লার্জার ব্যাঞ্চে শুনানি হয়েছিল। তিনজন বিচারপতির মধ্যে একজন বিচারপতি জামাতের নিবন্ধন বহাল রাখার পক্ষে বলেছেন। দুইজন বলছেন আইনসম্মত হয়নি। আবার শুনানির তারিখ ধার্য হবে এবং আমরা আশা করি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি হবে এবং জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বিচার পাবে, তার নিবন্ধন ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।”

আরও পড়ুনঃ  আবারও পিয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সবাই জানে যে এটা অন্যায়ভাবে আমাদের নিবন্ধনটা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আইনগতভাবে আমরা নিবন্ধিত ছিলাম এবং কোন একটা রাজনৈতিক দল একটা মামলা করল। সে মামলাকে ইস্যু করে নিয়ে আদালতে জিনিসটাকে তুলে রুল টুল দিয়ে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার অন্যায়ভাবে একটা নিবন্ধিত দলের নিবন্ধনকে তারা কেড়ে নিল। বিচারের উন্নত যে মান, স্ট্যান্ডার্ড, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এটা মেনটেইন করে যদি বিচার হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা সুবিচার পাবো।”

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

এদিকে আদালতের রায় ও নিবন্ধন ফিরে না পেলে কি করবে তারা? দলের সেক্রেটারি জেনারেল জানান স্বাধীন বিচার বিভাগেই আস্থা রাখছে তার দল। “আদালতের আইনের মধ্যেই যেহেতু আমরা গিয়েছি আমরা আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল। আমরা মনে করি আদালত আমাদের এই মামলার প্রতি সুবিচার করবেন, অন্য কোন পন্থা আমাদের অবলম্বন করতে হবে না বলেই আমরা মনে করি। আমরা এটার উপরই থাকতে চাই”, তিনি যোগ করেন। এছাড়া নির্বাচন যখনই হোক তার দল ৩০০ আসনেই প্রস্তুত বলেও জানান গোলাম পরওয়ার।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ