Monday, June 16, 2025

আয়নাঘরের দেয়ালে একটু হেলান দিলেই লাথি মারতো!

আরও পড়ুন

আয়নাঘরের দেয়ালে একটু হেলান দিলেই লাথি মারতো!
বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরের মাধ্যমে তিনি সরাসরি সাক্ষাৎ করেন ওই বন্দিশালায় আটক থাকা এক ভুক্তভোগী রাহাতের সঙ্গে। ভুক্তভোগী রাহাতের বর্ণনায় উঠে আসে বন্দিশালার ভেতরে তাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিস্তারিত চিত্র।

রাহাত বলেন, “আয়নাঘরের দেয়ালে একটু হেলান দিলেই লাথি মারতো। একদিন এসে আমাকে একটা লাথি মারলো, বললো ‘এরা ঘুমায় কিভাবে? ঘুমানোর সুযোগ পায় কিভাবে?’ সাত দিন একই জায়গায় একই অবস্থায় থাকতে হতো, যা সত্যিই অমানবিক।”

আরও পড়ুনঃ  ‘চোখ বন্ধ কইরা থাকবি, তাকাইলে কানা করে দিবো’

তাঁর ভাষায়, “ঝুলিয়ে কারেন্ট শক দিতো, গোপন স্থানে কারেন্ট শট দিতো। উল্টে পায়ের নিচে পিটাইতো, এমনভাবে পিটানো হতো যেন পায়ের পাতার নিচে পিটানো হচ্ছিল।” তিনি আরও জানান, “ময়মনসিংহে আমাকে জঙ্গি মামলায় ফাঁসানো হয়, যেখানে তিনি স্যারের দ্বারা অযাচিত জামিন বাতিলের সম্মুখীন হয়েছিলেন।”

রাহাতের ভাষায়, “রাতের বেলা অনেক কান্নার শব্দ শুনতে পেতাম, এবং সেই সময় একটা দুর্গন্ধও পাওয়া যেতো। পরে জানলাম যে, একজন বন্দি এখানেই মারা গেছে, তার শরীর থেকে গন্ধ আসতো।”

আরও পড়ুনঃ  নারীরাই ধরিয়ে দিলেন নেত্রীকে, অতঃপর...

রাহাত আরও জানান, “তিনটি মামলা খালাস হওয়ার পরেও এখনও ১০টি মামলা রয়েছে, যা তাঁকে এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এখনো আমার মামলাগুলোর সমাধান হয়নি, যার কারণে আমি শান্তিতে কাজ করতে পারি না এবং মানুষের কাছে আমার ইমেজ নষ্ট হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ