Monday, June 16, 2025

‘মহানবীর বংশধর’ সাফিউদ্দীনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ

আরও পড়ুন

নিজেদের অন্যতম প্রধান নেতা হাসিম সাফিউদ্দিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারান হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর বলা হচ্ছিল, হাসিফ সাফিউদ্দীন সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর প্রধান হবেন।

তবে অক্টোবরের শুরুতে সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করেও হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় আশঙ্কা করা হচ্ছিল তিনি নিহত হয়েছেন। অবশেষে প্রায় ২০ দিন পর হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করল হাসিম সাফিউদ্দীন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  এক হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টায় জন্ম নিলো ১৮ যমজ শিশু!

কে এই হাসিম সাফিউদ্দীন?

হাসিম সাফিউদ্দীন হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। তিনি হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক দিকটি দেখতেন। এছাড়া জিহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এই জিহাদ কাউন্সিল হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযানগুলো পরিচালনা করে থাকে।

হাসিম সাফিউদ্দীনের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি নাসরুল্লাহর চাচাত ভাই। তিনি একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বও। এছাড়া তিনি নিজেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর খুব কাছের বংশধর হিসেবেও দাবি করতেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে হামলা হিজবুল্লাহর
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, হাসান নাসরুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক, শারীরিক গঠন একইরকম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং মহানবীর বংশধর হওয়ায় তার উপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব আসতে পারে। তবে এর আগেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে আইসিসি, জরুরি বৈঠক ডাকলেন নেতানিয়াহু

হাসিম সাফিউদ্দীন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করতেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে মার্কিন প্রশাসন তাকে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় যুক্ত করে। গত জুনে সাফিউদ্দীন ইসরায়েলকে কঠোর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।

এদিকে ইরানের সহযোগিতায় ৪২ বছর আগে লেবাননে জন্ম হয়েছিল হিজবুল্লাহর। দলটির সাবেক প্রধানকে ১৯৯২ সালে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। এরপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। কিন্তু ইসরায়েলের হামলাতেই প্রাণ হারান তিনি। এরপর সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধান নেতাও একইভাবে নিহত হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ